একেক সময় একেক উদ্দেশ্যে সম্পাদকীয় লেখা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদকীয় লেখার উদ্দেশ্য এমনকি ধরনও ভিন্ন হয়।

সাধারণভাবে যেসব উদ্দেশ্যে সম্পাদকীয় লেখা হয়, এসবের মধ্যে রয়েছে :

 

তথ্য জানানো
প্রণোদিত বা উৎসাহিত করা
প্রশংসা করা
সমালোচনা করা
জনমত গড়ে তোলা
বিনোদিত করা

বিষয়গুলো সংক্ষেপে একটু ব্যাখ্যা করা যেতে পারে :

চলমান কোনো ঘটনা, সরকারের নেয়া কোনো পদক্ষেপ বা দেশের বাইরের (আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের) কোনো ঘটনা বা বিষয় যার সঙ্গে দেশ ও দেশের বাইরের অনেকের সম্পৃক্ততা বা স্বার্থ জড়িত রয়েছে, ইত্যাদি নানা বিষয়ে সম্পাদকীয় কলামের মাধ্যমে মানুষকে তথ্য দেয়া যায়। কোনো একটি বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন (ও বিশ্লেষণ) করে ভালো হলে এর পক্ষে আর ভালো না হলে এর বিপক্ষে সমাজের মানুষকে এমনকি সরকারকে সচেতন করে তোলার চেষ্টাও সম্পাদকীয়তে করা হয়ে থাকে। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সরকার বা যে-কারো ভালো কোনো উদ্যোগের প্রশংসা করা যেতে পারে সম্পাদকীয় কলামে, যেন তা অন্যদের উৎসাহিত করে। পাশাপাশি, ক্ষতিকর বা অশুভ কোনো কাজ বা উদ্যোগের সমালোচনা করে সেটিকে নিরুৎসাহিত করাও সম্পাদকীয়র আরেকটি উদ্দেশ্য। আর গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইস্যুতে – বিশেষ করে পাঠকের আগ্রহ ও আনন্দের উৎস হতে পারে – এমন বিষয়ে সম্পাদকীয় লিখে পাঠকদের সেদিকে আগ্রহী করে তোলাও সম্পাদকীয় কলামের আরেকটি কাজ।